আপনি গর্ভবতী হতে চান।তাহলে আপনাকে অবশ্যই এর জন্য উপযুক্ত ও প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমরা অনেকেরই দেখি বিয়ে হয়েছে অনেক বছর হয়ে গেছে কিন্তু সে কখনই গর্ভধারন করতে পারেনি।আবার অনেকের কনসিভ হয় কিন্তু বার বার নষ্ট হয়ে যায়।কখনই কনসিভ না হওয়া বার বার নষ্ট হওয়ার জন্য কিছু কারন রয়েছে। এই মা হতে না পারার জন্য কি কি দায়ী।এই বিষয়ে জানব:-
মেয়েদের কিছু কারন:-
১)সঠিক সময় সহবাস না করা: অনেকেই এই সঠিক সময় কি তা জানেই না।প্রত্যেক মেয়েরি প্রত্যেক মাসে মাসিক হয়।আর মাসিকের ১০-২০ তম দিনের মধ্যে যেকোন একদিন ওভুলেশন হয়।আর এই দশদিন সহবাস করলে গর্ভধারনের চান্স বেশি থাকে।যেসব মহিলাদের ২৮ তম দিনের সার্কেল তাদের ১৪ তম দিনে এই ওভুলেশন হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।ওভুলেশন কি এবং লক্ষণ গুলো কি কি।তা লিংকে পাবেন।
২)পুষ্টিহীনতা: হ্যা পুষ্টিহীনতার কারনেও গর্ভধারন নাও হতে পারে।আবার গর্ভধারন হলেও তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।ফলিক এসিডের ঘাটতি থাকলে এমনটা হয়।তাই প্রচুর পরিমানে ফলমূল,শাক-সবজি ও ফলিক এসিড টেবলেট খেতে হবে।
৩)হরমোনে ভারসাম্যহীনতা: হরমোন গর্ভধারনের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।কিন্তু এই হরমোনই আবার গর্ভধারনে বাধা প্রদান করে।তাই হরমোন লেবেল সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।আপনি যদি বাচ্চা নিতে চান তাহলে কিছু হরমোন টেস্ট করতে পারেন।যেমন:প্রোলেকটিন হরমোন,থাইরয়েড হরমোন,প্রজেস্টেরন হরমোন,টেস্টোস্টেরন হরমোন ইত্যাদি।আবাক হচ্ছেন টেস্টোস্টেরন হরমোনতো ছেলেদের।তাহলে মেয়েরা টেস্ট করবেন কেন?হ্যা কিছু মেয়েদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন যদি বেশি নিঃসরন হয়।তাহলে তাদের গর্ভধারন হয় না।
৪)অনিয়মিত মাসিক: অনেকের অনিয়মিত মাসিক হওয়ার জন্য প্রত্যেক মাসে মাসিক হয় না।তাই স্বভাবত প্রত্যেক মাসে ওভুলেশন হয় না।আবার ওভুলেশন ডেটের আগে অথবা পরে হতে পারে। যাতে গর্ভধারন হয় না।
৫)ওভারিয়ান সিস্ট: ওভারিতে কোন সিস্ট থাকলেও গর্ভধারন হয় না। সিস্ট হল ছোট ছোট পানির থলে।ওভারিতে এই ছোট পানির থলের জন্য ডিম বড় হতে পারেনা এবং ওভারি থেকে ওভুলেশনের সময় বাহিরে বের হতে পারেনা।
৬)ডিম্বাণু ছোট: অনেকের ডিম্বাণুর সাইজ ছোট থাকার কারনে গর্ভধারন হয় না।ডিম্বানুর সাইজ ২২-২৮ মি.মি হলে গর্ভধারন সম্ভব।ডিম্বানুর সাইজ বড় করার জন্য বিভিন্ন খাবার আছে।যা খেলে ডিম্বানু বড় হয়।যাইহোক এই বিষয়ে লিখব।কি খেলে ডিম্বানুর সাইজ এবং পরিমান বারবে।অনেকে fsh ইন্জেকশন দেয়।তবে আমার মতে এটা বেশি না নেওয়ায় ভাল।
৭)টিউব ব্লক: টিউব ব্লক বলতে ফেলোপিয়ান টিউব ব্লক বুঝায়।টিউব ব্লক থাকলে ডিম্বানুর সাথে শুক্রানু মিলতে পারে না।যার করনে গর্ভধারন কখনই সম্ভব নয়।টিউব ব্লক কি না তা জানার জন্য টেস্ট রয়েছে।যাতে দেখা যায় টিউব ব্লক আছে কি না?তবে এর কিছু লক্ষণ আছে যা খেয়াল করলে আপনি টেস্ট ছাড়াই বুঝতে পারবেন।টিউব ব্লক থাকলে ল্যাপার্স্কোপি করতে হয়।তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে যার মধ্যমে আপনি ঘরেই টিউব ব্লক খোলা যায়।যাইহোক এই ব্যাপারে পরে লিখব।
৮)ওভারিতে টিউমার: কারও যদি ওভারিতে টিউমার থাকে। তাহলেও গর্ভধারনে সমস্যা হতে পারে।
৯)দুশ্চিন্তা ও হতাশা: আপনি যদি কনসিভ করতে চান।তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।সব সময় খুশি থাকার চেষ্টা করুন।আপনার যা ভাল লাগে তাই করুন।
পুরুষদের কিছু কারন:-
১)বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম: বীর্যে শুক্রানু কম থাকা পুরুষে একটি সমস্যা।বীর্যে যদি শুক্রানু সংখ্যা কম থাকে।তাহলেও গর্ভভধারন সম্ভব নয়।তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এই শুক্রাণু বাড়ানো সম্ভব।
২)শুক্রানুর আকৃতি অস্বাভাবিক: শুক্রাণুর আকৃতিও যদি অস্বাভাবিক হয়।তাহলেও গর্ভধারন হয় না।
৩)ধুমপান ও নেশা করা: পুরুষের যদি ধুমপান ও নেশার করার বদ অভ্যাস থাকে। তাহলেও গর্ভধারন নাও হতে পারে।
৪)দুশ্চিন্তা ও হতাশা:বাবা হতে চাইলে পুরুষকেও চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।সবসময় হাসি খুশি থাকুন।
এই ব্যাপারে কারও কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে।আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য চেষ্টা করব।ইনসাআল্লাহ।ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment