মা হওয়ার প্রথম ধাপ হল ওভুলেশন।ওভুলেশন যদি না হয় তাহলে অনেক চেষ্টা করেও মা হওয়া যাবে না।এরজন্য অবশ্যই ওভুলেশন হওয়া জরুরী।
কিন্তু,আমরা যদি না জানি এই ওভুলেশনটা আবার কি? কখন হয়? কি এর লক্ষন।তাহলে হয়ত আপনি ঠিক সময়ে চেষ্টাই করছেন না।তাই মা হওয়ার সপ্ন শুধু সপ্নই রয়ে গেছে।এখন আসল কথায় আসি।
ওভুলেশন কি:- প্রত্যেক মেয়েরি এই ওভুলেশন হয়ে থাকে।ওভারি থেকে একটা পরিপক্ব ডিম ফেলোপিয়ান টিউবে আসাকেই ওভুলেশন বলে।
ওভুলেশনের সময়:- আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে।এই ওভুলেশন হয় টা কখন?হ্যা প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক।মাসিকের ১০-২০ তম দিন কে ওভুলেশনের সময় বলে।এই ১০ দিনের যেকোন দিন ওভারি থেকে একটা পরিপক্ব ডিম ফেলোপিয়ান টিউবে আসে।আর তখন যদি শুক্রাণুর সাথে মিলন হয় তাহলে আপনি গর্ভবতী হবেন।যাদের ২৮ দিন মাসিক তাদের ১৪ তম দিনে ওভুলেশন হয়।কখনও আগে ও পরে হতে পারে।
ওভুলেশনের লক্ষন:-মেয়েদের প্রত্যেক মাসেই ওভুলেশন হবেই এমন কথা নয়।কোন কোন মাসে ওভুলেশন নাও হতে পারে।আবার ১০-২০ তম দিনের আগেও পরে হতে পারে।সবথেকে ভাল হয় যদি আমরা লক্ষন গুলো বুঝতে পারি।আসুন লক্ষন গুলো যেনে নিই:-
১)হার্টরেট বেরে যাওয়া:- চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে,ওভুলেশনের কিছুদিন আগে থেকেই হার্টবিট বৃদ্ধি পায়।হর্টরেট কমে যায় মাসিকের সময় এবং ওভুলেশনের ২-৫ দিন আগে থেকে হার্টবিট বৃদ্ধি পেতে থাকে।ওভুলেশনের সময় হার্টবিট আরও বৃদ্ধি পায়।যা কমতে কমতে পরবর্তী মাসিক শুরু হলে কমে যায়।যদি আপনি প্রেগন্যান্ট হন তাহলে হন।তাহলে হার্টবিট বেড়ে যাবে।
২)শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়:- কয়েক মাস যদি একটু খেয়াল করেন।তাহলেই সহজেই ধরতে পারবেন।এটি ঘটে হরমোন লেবেলের জন্য।ওভুলেশনের দিনেতে হরমোন লেবেল বৃদ্ধি পায় তাই শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়। শরীরের তাপমাত্রা ১/২ - ১ ডিগ্রী বেরে যেতে পারে।এই তাপমাত্রা ওভুলেশনের একটা লক্ষণ
কিছুদিন যাবৎ লক্ষ করলেই এই পরিবর্তন বুঝা যাবে।তাপমাত্রা বৃদ্ধির দুই বা তিন দিনের মধ্যেই ওভুলেশন হয়।
৩)ভেজাইনাল ডিসচার্জ :- ওভুলেশনের দিনে ইস্ট্রোজেন হরমোন বেরে যাওয়ার জন্য এই ভেজাইনাল ডিসচার্জ হয়।ওভুলেশনের দিন গুলোতে জরায়ু দিয়ে পানির মত পদার্থ বেশি পরিমানে বের হলে বুঝতে হবে ওভুলেশনের সময় নিকটে।যা পিচ্ছিল স্বচ্ছ তরল পদার্থের মত।কিছু ডিমের সাদা অংশের মত।ওভুলেশনের পর প্রোজেস্টেরন হরমোন লেবেল বৃদ্ধি পায়।তাই এই তরল পদার্থ তাড়াতাড়ি ঘন হয়ে যায়।
৪)স্তন শক্ত হয়ে যাওয়া:- স্তন ও নিপল শক্ত এবং স্পর্শকাতর হয়ে যায় এই সময়।কিছুটা ব্যথা হতে পারে।হরমোন লেবেল বৃদ্ধি পায় বলে এমন হয়।
৫)শ্রোণীচক্রে ব্যাথা:- আবার অনেক মহিলাদেরি শ্রোণীচক্রে অর্থ্যাৎ নিচ পেটে ব্যাথা হয়।
৬)স্পটিং:- কোন কোন মহিলার হালকা স্পটিং বা হালকা দুই এক ফোটা রক্তপাত হতে পারে।এটি ইস্ট্রোজেন হরমোন লেবেল বেরে যাওয়ার কারনে হয়।
৭)ওভুলেশন কিট:- কেউও যদি উপরের কোন লক্ষণই না বুঝতে পারেন।তাহলে বাজারে ওভুলেশন কিট পাওয়া যায়।তা দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
উপরোক্ত বিষয় যদি ভাল লাগে এবং কারও কোথাও যদি বুঝতে সমস্যা হয় অথবা কোন প্রশ্ন থাকে।তাহলে কমেন্টে লিখুন।ধন্যবাদ।
Looking for Motherhood for a long time ?IVF is an option for women with fallopian tube issues, such as blockage, injury, or an abnormal form. When it comes to treating endometriosis, We have Medical tourism In India . Our Experienced Fertility Specialist In Sri Lanka guide you for women's fertility issue contact Now to book the appoinment+91 7970 108 108
ReplyDelete