ডিম্বাণুর সাইজ বড় করার ৫ টি ঘরোয়া উপায়:-





আজকে ডিম্বাণুর সাইজ বড় করার ৫ টি ঘরোয়া উপায় বলব।ডিম্বাণুর সাইজ বড় হওয়া খুব জরুরি।এবং গর্ভবতী হওয়ার জন্য ডিমের সাইজ বড় হওয়া প্রয়োজন।কারন ডিমের সাইজ ভাল না হলে আপনি কনসিভ করতে পারবেন না।


প্রথমে বলব একটা ডিম তৈরি হতে কত সময় লাগে?একটা ডিম তৈরি হতে ৯০ দিন সময় লাগে।একটা পরিপক্ব হতে পরা ৯০ দিন অর্থ্যাৎ ৩ মাস মাস সময় লাগে।এখন আপনারা ভাববেন যে, প্রত্যেক মাসেই তো একটা ডিম রিলিজ হয়।যাকে আমরা ওভুলেশন বলি।হ্যা ঠিকি ভাবছেন।কিন্তু যে ডিম রিলিজ হয় তা এক ওভারি থেকে রিলিজ হয়।তো যে ডিম রিলিজ হয় তা ৩ মাস আগে থেকেই পরিপক্ব হতে থাকে।এই ৩ মাস পরিপক্ব হয়ে তা রিলিজ হয়।যেটাকে আমরা ওভুলেশন বলি।এরজন্য আপনি যেকোন মেডিসিন অথবা কোন ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন।অথবা আপনার ডায়েট চার্টে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন।যেটাই করুন কমপক্ষে  ৩ মাস ধরে করতে হবে।যাতে আপনার ভাল রেজাল্ট মেলে।


আসুন জেনে নেই ডিম্বাণুরর সাইজ বড় করার ঘরোয়া ৫ টি উপায়:-


১) হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখা:- আপনার হরমোন ব্যালেন্স অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে।হরমোনকে আপনারা কিভাবে ঠিক রাখবেন?ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন নিতে পারেন।অথবা মাকারুট পাওডার আপনার ডায়েট চার্টে যোগ করতে পারেন।



এটা প্রতিদিন একবার খেতে হবে।আপনি শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।অথবা সালাদের সাথেও মিশিয়ে খেতে পারেন।আবার অন্য কোন খাবারের সাথেও মিশিয়ে খেতে পারেন।এটা আপনার হরমোনকে ঠিক রাখবে।

আপনার শরীরে যদি FSH হরমোন লেবেল বেড়ে যায়।যার কারনে ডিম রিলিজ হতে পারেনা অথবা ডিম ভালভাবে তৈরি হতে পারেনা।তাহলে হার্ব ভিটেক্স নিতে পারেন।এটাও দিনে একবার খেতে হবে।যা আপনার FSH হরমোন লেবেল ঠিক রাখবে।এবং আপনার ওভুলেশন শুরু হবে।




২) রক্ত সঞ্চালন ও অক্সিজেন বাড়ানো:- আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন ও অক্সিজেন বাড়াতে হবে।একটা সুস্থ্য ডিমের অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন।যদি আপনার শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সঞ্চালন না থাকে। তাহলে ডিমের সাইজ ভাল হবে না।অথবা ডিম তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম না করেন তো আপনার রক্ত সঞ্চালন কমে যাবে এবং কম পানি পান করেন তো রক্তে কনিকা ছোট হতে থাকে।তাই ডিমের সাইজ ভাল রাখতে গেলে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে।আপনি চাইলে হাটতে পারেন। ফার্টিলিটি বুস্টিং ইয়োগা করতে পারেন।এবং প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।সাথে আপনি ফার্টিলিটি করতে পারেন কাস্টার ওয়েল দিয়ে।এতে আপনার ডিমের সাইজ ভাল হবে।

৩) ডায়েট চার্ট :- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুব বেশি প্রয়োজন। ডিমের সাইজ এবং গুনমান ঠিক রাখার জন্য।তাই আজ থেকে শুরু করুন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।অনেক খাবার রয়েছে যা আপনার ডিমের সাইজ বড় করাই সাহায্য করতে পারে।যেমন:- ব্রুকলি,জাম,সবুজ-শাকসবজি,পালং শাক,কুমড়ার বীজ,হলুদ,আদা ইত্যাদি।আপনি এই খাবার গুলো খেতে পারেন।এই খাবার গুলো আপনার ডায়েট চার্টে যোগ করতে পারেন।প্রতিদিন কিছু না কিছু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।তবে প্রতিদিন অব্যশই কুমড়ার বীজ খেতে হবে।এবং প্রচুর শাক-সবজি,পালং শাক খেতে হবে।মাংস খেতে পারেন।কিন্তু সপ্তাহে ১ দিন।কিছু কিছু খাবার না খাওয়া উচিত।যেমন:- ফাস্ট ফুড, বার্গার,বাহিরে তৈরি করা খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল,সোডা ইত্যাদি।চিনি কম পরিমানে খাতে হবে।চিনি বেশি খেলে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়।যা ডিম্বানু হ্রাস করে।




৪) মাল্টিভিটামিন:- মাল্টিভিটামিন নিশ্চিত করে যে আপনার শরীর সঠিক পরিমানে পুষ্টি পাচ্ছে। তাই মাল্টিভিটামিন নেয়া প্রয়োজন।ডাক্তারের পরামর্শে যেকোন মাল্টিভিটামিন নিতে পারেন।আপনি যদি কনসিভ করতে চান।তাহলে কমপক্ষে ২ মাস আগে থেকেই মাল্টিভিটামিন নেয়া শুরু করতে হবে।এতে ডিমের গুনমান সঠিক থাকে।


৫) স্ট্রেস কমানো:- যাইহোক আপনাকে স্ট্রেস কমাতেই হবে।স্ট্রেস হরমোন লেবেল বাড়ায়ে দেয়।বিশেষ করে প্রোলেকটিন হরমোনকে।যা আমাদের শরীরে ওভুলেশন সিস্টেমকেই বন্ধ করে দেয়।অথবা ডিমের সাইজ হ্রাস করে।স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন করতে পারেন।হাটতে যেতে পারেন।ভাল ভাল বই পড়তে পারেন।সর্বোপরি আপনাকে ভাল থাকতে হবে।


উপরের যে উপায়গুলো বলেছি তা ঠিকভাবে পালন করলে ভাল ফল পাবেন।তবে অব্যশই বিশ্বাসের সাথে পালন করবেন।কথায় আছে, "বিশ্বাসে মিলাই বস্তু তর্কে বহুদূর"।
ধন্যবাদ।



Comments