কথাটা শুনে অনেকেই মনে করছেন এটা আবার কেমন কথা।গর্ভধারনের পর সবাই প্রস্তুতি নেন।আর এখানে শুনি আগেই প্রস্তুতি নিতে।হ্যা ঠিকি শুনছেন।আগেই কিছু প্রস্তুতি নিলে গর্ভধারন সহজ হয়।যা বিদেশে প্রচলন আছে।এখন আমাদের দেশেও অনেক সচেতন মানুষ আছে।যারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নেন।আর এটায় সঠিক।
যাইহোক এখন আসল কথায় আসি।গর্ভধারনের জন্য পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই ভূমিকা আছে। তাই আমরা গর্ভধারনের আগে কি কি প্রস্তুতি নিব।সেই বিষয়ে জেনে নিব:-
মহিলাদের জন্য করনীয়:-
১)ওভুলেশনের সময় নির্ধারন:- প্রত্যেক মাসে কিছু নিদিষ্ট সময় থাকে।যখন সহবাস করলে গর্ভধারন হয়।এই সময়টা কে ওভুলেশন বলে।প্রতি মাসিক চক্রের ১০-২০ তম দিনকে ওভুলেশন পিরিয়ড বলে।এই সময় গর্ভধারনের সঠিক সময়।
২)পুষ্টিকর খাবার:- আপনি বাচ্চা নিতে চাইলে।অবশ্যই ১-২ মাস আগে থেকেই আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।প্রতিদিন একটা করে ফলিক এসিড টেবলেট খেতে হবে।এতে গর্ভধারন সহজ হবে এবং বাচ্চা সুস্থ্য থাকবে।
৩)ফাস্ট ফুড পরিহার করুন:- আপনাকে অবশ্যই ফাস্ট ফুড এবং কোমল পানীয় খাওয়া পরিহার করতে হবে।
৪)হরমোন :- হ্যা অবশ্যই আপনাকে হরমোন সম্পর্কে জানতে হবে।যদি কোন হরমোনের সমস্যা থাকে।তাহলে গর্ভধারন সম্ভব নয়।তাই আগেই জেনে নিতে হবে হরমোন লেভেল।যেমন: প্রোলেকটিন হরমোন,থাইরয়েড হরমোন।যা গর্ভধারনে সহয়তা করে থাকে।কিন্তু এই হরমোন গুলো আবার বন্ধাত্বের জন্য দায়ী। তাই আগেই জেনে নিয়া ভাল।
৫)আল্ট্রাসাউন্ড:- হ্যা আগেই একটা আল্ট্রাসাউন্ড করে নিবেন।ওভারিতে সিস্ট আছে কি না অথবা টিউমার আছে কি না জেনে নেয়া ভাল।
৬)দুশ্চিন্তা না করা:- অবশ্যই আপনাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।কারন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারনে ডিম্বাস্ফুটন নাও হতে পারে।তাহলে আপনার সব পরিকল্পনায় বৃথ্যা।তাই যতটা পারবেন হ্যাপি থাকবেন।
পুরুষের জন্য করনীয়:-
১)বীর্য পরিক্ষা করুন:- আপনার বীর্য পরিক্ষা করে নিবে।শুক্রানুর পরিমান ও আকৃতি স্বাভাবিক আছে কি না।নাহলে সবকিছুই বৃথা।
২)ধুমপান ও নেশা পরিহার করুন:- আপনি যদি ধুমপান করে থাকেন।তাহলে তা বর্জন করতে হবে।ধুমপান ও নেশার কারনে শুক্রানুর পরিমান ও আকৃতি নষ্ট হয়।
৩)দুশ্চিন্তা মুক্ত:- কথায় আছে, বীজ ভাল হলে গাছ ভাল হয়।এক্ষেত্রে প্রযোজ্জ্য।দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকলে শুক্রানু সুস্থ্য ও মটিলিটি ভাল থাকে।
কারও যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করতে পারেন।
Comments
Post a Comment