ওভুলেশনের পরের ধাপই হল ইমপ্লান্টেশন।ইমপ্লান্টেশন সাকসেসফুল হলেই আপনি গর্ভবতী হবেন।যদি ইমপ্লান্টেশন না হয় তা হলে আপনি গর্ভবতী হবেন না।প্রথমেই জানব ইমপ্লান্টেশন কি?কিভাবে ইমপ্লান্টেশন হয়?
ইমপ্লান্টেশন :- ওভুলেশনের সময় যে ডিম বের হয়।তা শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হওয়ার পর তা ধীরে ধীরে ইউটেরাসে যেয়ে ইউটেরাসের দেয়ালে যুক্ত হয়।তাকে ইমপ্লান্টেশন বলে।এই সময় শরীরে HCG হরমোন তৈরি হতে থাকে।যার কারনে প্রেগন্যান্সি রেজাল্ট পজিটিভ আসে।আর আপনি গর্ভবতী হন।
ইমপ্লান্টেশনের কিছু লক্ষণ রয়েছে। যাকে ১ম সপ্তাহের গর্ভাবাস্তার লক্ষণও বলা যায়।যা দেখলে বুঝবেন ইমপ্লান্টেশন সাকসেসফুল হয়েছে এবং আপনি গর্ভবতী হয়েছেন।
ইমপ্লান্টেশনের লক্ষণ :-
১) হালকা পেট ব্যাথা:- কিছু কিছু মহিলাদের ইমপ্লান্টেশনের সময় হালকা পেট ব্যাথা হতে পারে।তলপেটের ডানপাশে হালকা ব্যাথা হয়।
২) রক্তপাত :- ইমপ্লান্টেশনের সময় হালকা রক্তপাত এবং স্পটিং হতে পারে।মাসিকের ব্লিডিং থেকে কম হয়।এটা কনসিভ করার জন্য হয়।মাসিক চক্রের কিছুদিন আগেই এই ব্লিডিং হয়।এরজন্য কোন চিকিৎসারর প্রয়োজন নেই।এটি সব মহিলার হবে এমন নয়।অনেকের নাও হতে পারে।তবে ৭৫% মহিলাদের এটি হয়ে থাকে।
৩) মাথা ঘোরা :- ইমপ্লান্টেশনের সময় গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় কিছুটা।যা ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকে।মাথা ঘোরা,বমি বমি ভাব,বমি হওয়া এবং অসস্থি হওয়া।যা ১ম সপ্তাহের গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ।
৪) ব্রেস্ট শক্ত হওয়া :- ব্রেস্ট কিছুটা শক্ত হয়ে যায়।এটি ঘটে মূলত হরমোনের পরিবর্তনের জন্য।ব্রেস্ট ফুলে যায় এবং সংবেদনশীল হয়।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য :- ইমপ্লান্টেশন হওয়ার ফলে প্রেগন্যান্সি হরমোন অর্থ্যাৎ HCG হরমোন বৃদ্ধি পায়।যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
৬) অবসাদ :- এই সময় ভ্রুন বৃদ্ধি পেতে থাকে।যা অনেক কঠিন একটা কাজ।এই কারনে অল্পতেই ক্লান্তবোধ লাগে।এটি ১ম সপ্তাহের গর্ভবতীর লক্ষণ।প্রোজেস্টেরন হরমোন ও ব্লাড ভলিউম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে হয়।
৭) মাথা ব্যাথা :- ব্লাড ভলিউম বেরে যাওয়ার কারনে মাথা ব্যাথা করে।যা গর্ভবতীকালীন সময়ও হয়ে থাকে।
৮) মুড সুয়িং :- এই সময় অল্প কিছু কারনেই মন খারাপ হয়ে যায়।হঠাৎ করেই ভাললাগে আবার একটু পরেই খারাপ লাগে এই সময়।
উপরের লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝবেন আপনার ইমপ্লান্টেশন সাকসেসফুল হয়েছে।এবং আপনি গর্ভবতী হয়েছেন।কমবেশি সব গুলো লক্ষণই প্রকাশ পায়।ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment